,

মানুষের শরীরে প্রথম বার্ড ফ্লু ভাইরাস সতর্কতা জারি চীনে

সময় ডেস্ক ॥ চীনের সিচুয়ান প্রদেশে বার্ড ফ্লু বা অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রামক স্ট্রেইন এইচ৫এন৬ (ঐ৫ঘ৬) ধরা পড়েছে এক ব্যক্তির শরীরে। চীনা সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে ওই ব্যক্তির অবস্থা ভাল নয়। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। ৫৫ বছরের ওই ব্যক্তি বাজহং শহরের বাসিন্দা। তিনি পোলট্রি ফার্মের কাছাকাছি থাকেন। সেখান থেকেই ভাইরাস তার শরীরে ঢুকেছে বলে মনে করছেন চীনের চিকিত্সকরা। এর আগেও চীনে একজনের শরীরে বার্ড ফ্লু ভাইরাসের সংক্রমণ ছডড়য়েছিল বলে খবর রটেছিল, তবে চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন তা মানতে চায় নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) ১৯৯৭ সালে প্রথম মানুষের শরীরে এই ভাইরাল স্ট্রেইন চিহ্নিত করেছিল। মৃত পাখির দেহাবশেষের সংস্পর্শে এসেই মানুষের শরীরে সেই ভাইরাল স্ট্রেইন ছডড়য়েছিল বলেই মনে করা হয়েছিল। চীনে যে সংক্রামক স্ট্রেইন ছডড়য়েছে তা মানুষের জন্য কতটা বিপজ্জনক তা খতিয়ে দেখছেন গবেষকরা। ২০১৬-১৭ সালে এইচ৭এন৯ (ঐ৭ঘ৯) বার্ড ফ্লু ভাইরাস মানুষের শরীরেও ছডড়য়ে পড়েছিল। আক্রান্ত ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তারপর থেকে মানুষের শরীরে আর এই ভাইরাস ঢুকতে দেখা যায় নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের শরীরে ঢুকলে করোনা ভাইরাসের মতোই দ্রুত বিভাজিত হতে পারে অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু ভাইরাসের স্ট্রেইন। উপসর্গও করোনা সংক্রমণের মতোই। বার্ড-ফ্লু ভাইরাস হল বিশেষ ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস যা শুধু পাখি নয়, মানুষ ও অন্যান্য পশুর শরীরেও সংক্রামিত হতে পারে। এই ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জাকে বলে অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা। থুতু-লালা ড্রপলেটের মাধ্যমে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াতে পারে। অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার অনেক রকম প্রজাতি আছে, সবগুলোই যে ভীষণ সংক্রামক বা মানুষের শরীরে ছড়াতে পারে তেমন নয়। ভারতে যে ধরনের বার্ড ফ্লু ভাইরাস ছডড়য়েছিল তার নাম-এইচ৫এন১ এবং এইচ৭এন৯। দেশের কয়েকটি রাজ্যে মৃত পাখিদের নমুনায় এইচ৫এন১ (ঐ৫ঘ১)ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের স্ট্রেইন খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল। পাখিরা এই ভাইরাসের বাহক।


     এই বিভাগের আরো খবর